সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় ইদলিব ও আলেপ্পো প্রদেশে গত এক সপ্তাহে চলা তীব্র সংঘর্ষে নতুন করে ১ লক্ষ ১৫ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। টাইমস অব ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
জাতিসংঘের সিরিয়া সঙ্কট বিষয়ক উপ আঞ্চলিক মানবাধিকার সমন্বয়কারী ডেভিড কার্ডেন বুধবার (৪ ডিসেম্বর) ইদলিব সফর শেষে এএফপি’কে এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, "গত এক সপ্তাহ ধরে সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে ব্যাপক সংঘর্ষ চলছে, যার ফলে ইদলিব ও উত্তর আলেপ্পোতে নতুন করে ১ লক্ষ ১৫ হাজার মানুষ ঘরবাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়েছে।"
এদিকে, জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস সিরিয়ায় চলমান যুদ্ধের ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, "যুদ্ধের বিস্তার শঙ্কার সৃষ্টি করছে এবং এর ফলে আরও বেসামরিক নাগরিকের জীবন বিপদে পড়ছে।"
জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, "সব পক্ষকে অবশ্যই বেসামরিক জনগণ এবং তাদের অবকাঠামোর সুরক্ষা নিশ্চিত করতে যথাসাধ্য চেষ্টা করতে হবে। এর মধ্যে নিরাপদে পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ প্রদানও অন্তর্ভুক্ত থাকতে হবে, যাতে মানুষ প্রাণ রক্ষার্থে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে পারে।" তিনি আরও বলেন, "সিরিয়ার মানুষ ১৪ বছর ধরে যুদ্ধ ও সংঘাত সহ্য করছে। তাদের এখন আর রক্তপাত নয়, শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক সমাধান প্রয়োজন, যা তাদের একটি স্থিতিশীল ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করবে।"
২০১১ সালে শুরু হওয়া সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ প্রায় ১৪ বছর ধরে চলছে। যুদ্ধের কারণে একদিকে যেমন হাজার হাজার মানুষ জীবন হারিয়েছে, অন্যদিকে বহু পরিবার তাদের বাড়িঘর হারিয়ে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে।
এখন পর্যন্ত চলমান সংঘর্ষে ৪৫৭ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই যোদ্ধা হলেও অন্তত ৭২ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস।
সিরিয়ার জনগণ এখন শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য একটি রাজনৈতিক সমাধান প্রত্যাশা করছে, যা তাদের দীর্ঘস্থায়ী দুর্দশা থেকে মুক্তি দিতে পারে।